অন্তিম অভিনয় : অরূপ ঘোষ


মাংস মাংস মাংস
হাওয়া আছে প্রবল
গুহ্য মাঝে
যন্ত্র কাঁপে পভু
যন্ত্র চলে সাঁই
মুর্ধা ধরে শরীর
থামাতে বলে যান
ম্যাপ পেরিয়ে গেছি বাপ্তিষ্ম

মাংস নিয়ে শুরু হল ঘর
খেলা হল শুরু
উড়ান চলেছে তোর নিপুণ আইল্যান্ড
ডিসিফের করে

অন্তিম অভিনয়
অরূপ ঘোষ
মাংস মাংস মাংস
মাংস হল প্যাকিং
শুকনো হল দেহ
রান্না হল চিকেন
লক্ষাধিক ডিম

খাওয়া হল বিপুল দাঁতের রোহে

পশু, মানুষ, লোহা, বাতাস
এবং উদাহরণযোগ্য অনন্ত ইত্যাদি
...

মাংস নিয়ে খেলা

জীবনে কত পানু দেখেছি ইয়ত্তা নেই।

আর একথাও ঠিক নিজের অজান্তে কখন
আমার চোখ বদলে গেছে। প্রতি সম্পর্কে
মুক্তি দিয়েছি অশ্লীলতার।

সমস্ত নারীকেই একটা সময় আমি রমণসঙ্গিনী করে
তোলার স্বপ্ন দেখতাম

এই হিংস্র যৌন কল্পনার খেসারত আমি দিয়েছি।
দিনের পর দিন অসুস্থ হয়ে উঠেছিল আমার আচরণ।
প্রচুর প্রচুর তামাক বিদঘুটে করে তুলেছিল সেক্স। ওয়ান্স আপন আ টাইম
সম্ভবত মাধ্যমিক দিই যেবার। একদিন একটা মাস চারেকের বাছুরকে,
বাড়ি যখন ফাঁকা খিরকি এঁটে গোয়ালের ভিতর, দীর্ঘক্ষণ যখন তার ল্যাজ তুলে
ফুটোর কাছে উচ্চতার সমস্যায় ঠিকঠাক এডজাস্ট করতে পারছি না, আমি ওকে দড়ি
বেঁধে আংলি করতে করতে মাস্টারবেট করেছিলাম - বেচারি আপ্রাণ চেষ্টা করছিল নেদে-মুতে
আমার কাছ থেকে সরে যাওয়ার।
I
সোনা কেন আজ আমায় ফোন করল না? - কাল আমি ভালোবাসার নামে মানসিক অত্যাচার চালিয়েছিলাম বলে! আঃ অভিশপ্ত আমি, মাংসগ্রস্থ আমি!


দেওয়াল ঘড়িটার ব্যাটারি না খোলা পর্যন্ত
শান্তি নেই
রাতকেও যেন কর্মমুখর কোরে তুলবে বাঞ্চোৎ।

প্রতিদিন মনে হয় স্তন কোথায় কোথায় উরু, যোনি কই?
কই তুমি?

তার বয়স সাতাশ। তার যোনির শিকড় সুন্দর, মাংসল। তার স্তনযুগল স্পর্শ করে স্বাদ রয়ে গেল অন্য মানবীর।
ওর বয়স চোদ্দ। ওকে পেতে জাল বিছুনো হল। একই সঙ্গে শিকার হল দুটি ছোট পাখি।

পাখির নরম মাংসে বেড়ে গেল হায়নার ক্ষিধে

যন্ত্রের হেঁয়ালি দিয়ে সকলের সামনেই তারা তুখোড় চালিয়ে গেল রসালাপ। কদিন পর কর্মস্থলে চলে যাবে যার পুরুষ তাকে সে নিজে আছে জানিয়ে আশ্বস্ত করল। তার অভূতপূর্ব নাভির দিকে তাকিয়ে জাগাল তাকে। আনন্দময় হাসি রমণী ওষ্ঠে দেখা দিলে সাইকেল চালিয়ে চলে গেল সে।
______

-      আপনি অরূপ ঘোষ না !
-       -       
?
তার সন্ধ্যা ফুটল নিতম্বে
ফসলের আঠায় তার জিভের লালা গাঢ় হল
তার চোখে হু হু সময় পিছুতে পিছুতে হারিয়ে গেল
কেঁপে উঠল বাস্তবতা, দেহ কাঁপল
ভূতগ্রস্থ ডুবে গেল মাংসের ভিতর একটা ঘর
কোলাহল করে উঠল হলুদ আলো
কালী হয়ে ওঠার আগেই বুকে চাপল সে

আমার মুখ তার মহাবিশ্বে।

ক্রমশ জীবনে ঢুকি আমি।।

জীবন আমার থেকে পুরোনো শক্তি টেনে নেয়। নতুন ইচ্ছে দেয়।

আলোচনা শুরু করি আমি। নিদ্রাতুর শুরু হয় জেগে ওঠা।...
________
গল্পটা কি তোমার
ডিভোর্স !
_________

কাঠখেগো পোকাটা আবার দাঁতে শান দিতে শুরু করে। আমি বুঝি কেসটা - কেন দুধ দাঁত ভেঙে গেলে মা ইঁদুরের গর্তে দিয়ে আসতে বলতো। কেন আমিও ছেলেকে বলি দৈত্য হ হতচ্ছাড়া। ভালমানুষ হোসনে বাবা। - ইয়ে হয়ে যাবি।

মা-এর স্তনগুলি আমাকে বৃহৎ ও পিতৃচেতনা মুছে দেয়।
________

জন্ম থেকে মৃত্যুতক সমস্ত মানবের এই শেকড় !

“সমস্ত মানব আসলে একই পশুগোত্রজাত”
একাত্মতা একটা সেলফ, ব্যক্তি ও তার নিবেদন এটা, কোন কিছুর প্রতি।
-  প্রেমে তির্যক ও নিউরোটিক রূপায়িত।
ভালোবাসার পাত্রপাত্রীরা প্রত্যেকে তাদের নিবেদনকে যে জায়গায়
তারা মন নিয়োগ করেছে উৎপন্ন হৃদয়ে পরখ করতে চায়, যতদূর
পৌঁছতে সক্ষম হয়েছে তার কল্পনা - এ এমন প্রক্রিয়া, পরিণত হতে
     হয় কাঙ্ক্ষিত চরিত্রে। – যৌথ পার্টনারশীপের লগ্নি জদিও,তথাপি
ব্যক্তির কল্পনা ও বাস্তবতায় সমান্তরাল। ছুঁয়েও ছুঁতে পারিনা

পরস্পরের হৃদয়।

যখন তারা বোঝে আর তারা পরস্পরকে বুঝতে পারছেনা, দোষারোপ চলে অদৃশ্যে জন্ম নেওয়া
দূরত্বকে প্রকট করে তুলতে। অনেক সময় এটা তারা ইচ্ছে করে করেনা। এমনকি ইচ্ছাও থাকেনা নিয়ন্ত্রণে। এই ফাঁকা ফাঁকা অবস্থায় কেউ আস্তে আস্তে ঢুকে যায়। একটা আবছা ও একটা দখল করে দৃশ্য। - যখন দ্বিতীয় পাত্রপাত্রীর মধ্যেও ঐ বোঝাপড়ার অতীত শূন্য জাগে - হয় সে নতুন আকর্ষণে নিবেদিত হয় বা ফিরে যায় স্মৃতিতে। – তার কাছে সম্পর্ক হয়ে দাঁড়ায় সুউচ্চ শিখর, যেখানে হাত ধরার কেউ নেই।
...
প্রেম দেহ বদলাতে থাকে
মন বদলায়
একা,
একা হয়ে যায় সে, অসম্ভব একা, না থাকার মত

সে লক্ষ্য করেনা অপরকে
কান পাতে সকল হৃদয়ে




আক্রমণ, প্রতিআক্রমণ ও প্রতি আক্রমণ অতঃপর নতুন কৌশল




অলিখিত যে শ্বাস-প্রশ্বাস
যে অজস্র লুকিয়ে আমিহীন হয়ে
এগুনো বা পিছুনো যাবেনা
শুধু তার দেহঘেঁষা বাতাস, তার
গন্ধ লেগে থাকা নাক
তার না থাকা টের পায় যে মর্ষ
আলো ফুঁড়ে বেরিয়ে আসে রাত
আলো আসে দৃষ্টিহীন পতনের
রাস্তা পেরিয়ে শোক আসে
সারিবদ্ধ শূন্যহৃদয় দেহটির ভেতর

ওগো ঘুম নাড়াও ওকে, বলো
জল দেওয়া হয়নি আলুতে, টিনার ফুরিয়েছে খাতা

বলো তেইশ বছর পর আবার কিভাবে
একা শুরু করব সাঁই ?

তিনি হয়ে আমি ক্রমে নিজের উপস্থিতি মুছি
ক্রমে জন্য শোক শুরু হয়
প্রেম শুরু হয় বরাব্বরের মত উঠে যাওয়ার
আমি ভালবেসে ফেলি মানুষ, রাস্তা, গান
শোক বয়ে আনে নতুন আনন্দ

ডানা গজিয়ে ওঠে ধাতুর
মাংস জন্মায় পাথরে

__________

আমার শহর নিভে যায়। আলো কমে আসে হৃদয়ের
ফাঁকা খাঁচায় পাখি
                কিভাবে এল ?


মন চেপে ধরল মাংস।

তোমাকে কতদিন ছিটকিনি আলতো নামিয়ে চান করতে দেখেছি। স্তন দেখেছি কাপড় সরিয়ে সাবান বুলুতে। দেখেছি নাভি, আর্দ্র জানু। তেলা মাথা দেখেছি অভূতপূর্ব। চোখ ওপরে তুলে দেখেছো।
-      দাঁত থেকে কেন সায়া খুলে পড়ে না কোনদিন ?


পোশাক বর্জিত নরনারীর উদোম ক্রিয়া। ... এটা এমন এক ঢেঁকি, যাকে চাল গুঁড়ো করতে হবে। মিহি। আসকে, পিঠে ও সরুচুকলি হবে। কাঁকর বরদাস্ত করা যাবেনা। ছেলে-বুড়ো সবাই যেন মজতে পারে।

তারা নতুন জায়গায় যায়। যেখানে পরিচিত কেউ নেই। কেউ বিরক্ত করবেনা। এমন কি যদি তারা সারাদিন ঘর থেকে না-ও বেরোয়। - ওদের মেলামেশা আইনসিদ্ধ।
----
আমরা তবে কি মাস্টারবেটই করে যাব ?

প্রায়ই বাড়ি আসে যে কুকুরটা, একদিন দেখলাম ওর পাছায় একটা ক্ষত- একদাঁত গর্ত।...
ওকে দুর্বল ও অসুস্থ মনে হল।

কদিন পাত্তা পেলাম না
আজ দুপুরে ছোটকার গেটের সামনে দেখলাম
ও পুস করছে
আর
পাশে দু তিনটে ঘেয়ো হাড্ডাগাড্ডা কুত্তা
দু- একটা কুকুর দূরে
ডগের লাল বের করে দেখে নিচ্ছে লেজকাটা কালু
শুঁকছে
জাগাতে চাইছে ?  


এই লাল যখন সিংহে রং করা হত আমরা ব্যাডব্যাড করে দেখতাম কৈশোরে।

--------

‘পানু’। এমন এক অদ্ভুত মনোজগতের ধারণা থাকে। এলিট সমাজ যৌনবিকারের মিনার তুলে এবং নিষেধের মধ্যে দিয়ে (অঘোষিত) ছুৎমার্গ তৈরী করে। ‘ও বাবা লোকটা চোদাচুদি নিয়ে লিখছে, গুদ নিয়ে লিখছে।’- ‘এ এক ভয়ঙ্কর বস্তু, একে ঢেকে রাখতে হয়।’ ‘গুদ নিয়ে কখনও শিল্প হতে পারেনা।’ - শিল্প কি এমন কোন বস্তু যাতে যোনি নো প্রবলেম। তালে সমস্যা কি শব্দটায় ?


স্যার আপনি হলে কি কইরা ?
যখন কেউ প্রসব যন্ত্রণায় কাৎরায়, জানেন কি বলে নার্স ? মনে ছিল না শোয়ার সময় মাগী ? --আরাম বেরুচ্ছে লো দ্যাখ...

যখন জন্মেছেন, কিভাবে জন্মেছেন যায় আসে না। শিশু জিজ্ঞেস করলে কিছু একটা বলুন। -- ঐ কাশের ঝোপে পেয়েছিলাম তোকে।

এখানে কাশ ঝোপ মনে হলো

ছেলে ঘুমিয়ে পড়লে, ফোন করবে কি সে ?
সে জিজ্ঞেস করল তোমার কোথায় এত ছাড়া ছাড়া ভাব কেন
সে কি বলবে উত্তরটা সে আন্দাজ করেছিল।
কেটে গিয়েছিল ফোনটা
ভাবছিল সে শুয়ে শুয়ে

যাকে খিস্তী পাড়ছিল, এত ভালোবাসা কোথা থেকে
এল তার প্রতি !

সে ব্লুটুথ দিয়ে পানু নিল
একবার দেখল
দু বার দেখল
একটি মেয়ে
দু দুটি মেয়ে
তার সবচেয়ে পরিচিত নগ্ন হল
মেয়েটা চাইল আরো অনেক
দু-মিনিট
দশ-মিনিট
একদিন
বছর
আমৃত্যু
-‘সেও চাইল’

আমাদের অন্যান্য সমস্যাগুলি প্রকট হয়ে উঠল ক্ষরণের কিছুক্ষণের মধ্যেই...

জীবন এটাই
পৃথিবী তার পার্থিব নিয়ে এভাবেই পাক খাচ্ছে
প্রকট সত্ত্বাগুলি মুছে ফেলছে অন্যান্য অস্তিত্ব

চলছে রাজনীতি, ধর্ম, বিজ্ঞান
সামনের ও পিছনের পথ দিয়ে -

দু-জোড়া উরুর মাঝে ভেসে উঠছে গোধূলি।।

এত সহজে পেতে চাইছি না ওগো শরীর তোমাকে ।।?

দেখছি অন্তিম অভিনয়
হস্তাবলোপ দেখছি
মৃৎশিল্পে

পশু আর মানুষের পার্থক্যেই সমস্যা হচ্ছে
সমস্যাঃ ভালোবাসা ও সাধনার

যৌনতা এক দৈব ব্যাপার।
এটা বিক্রি করা যায়না।
এটা কোনো বিলাস বস্তু নয়।
অতিগুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ জীবনের।

সুস্থতার একটাই লক্ষণ মাথাকে ধুয়ে মুছে
রোদে শুকুতে দিন। হরিনাম করুন আর ভোটার বাড়ান।

সে যাকে সবচেয়ে বেশী ভালোবাসে, সে-ই তার সঙ্গে অসহনীয় প্রতারণা করে।

তার মনে হয়, যখন সে একটা মাস তাকে ছাড়া কাটাতে পেরেছে
এক বছর, দু-বছর
বা
বাকী জীবনটা অসম্ভব নয়।

সে বা তার ছেলে কেউই পরস্পরের প্রতি টান অনুভব করেনা।
দু-জনাই অন্য ক্রাইসিস থেকে
ঘুমোয়,
জেগে ওঠে।।

মনের গভীরে একা হয়েও
সকালে ঘুম থেকে তুলে দেয় মা
চা- দিয়ে মুক্ত হতে চায়

সারাদিন আমি অনিচ্ছার বোঝা বয়ে চলি
শরীর বয়ে চলি
খাটাই।

শরীর বিশ্রাম চায়
মেহফিল চায়
ভারশূন্য নিদ্রা চায়

মিহি গোলাপি আলোময় বাতাসে দৈব জেগে ওঠে
ছবি আঁকে আমার পাজামায় 

ওহ বাকি জীবন! – সে কি বিরাট, ভয় ধরানো কোন বস্তু ?
আমি কদ্দিন বাঁচব যেমন নিশ্চয়তা নেই
তেমনি রাস্তা, ঈশ্বর
       ।।
কিভাবে আমি কথা পেলাম?
কে আমাকে নিয়ে এল শব্দের দুনিয়ায় যা কিছু ঘটবে চাক্ষুস করতে ?
কে আমাকে দিল হন্যে, খুঁজে বেড়ানোর গোলামি ?
যেসব পশুদের আমি ক্ষুধার্ত তাড়িয়ে দিলাম
ওদের আত্মা ঝলসে দিল আমার চোখ
আমি দেখলাম মাথার ভেতর কুকুর ছুটে যাচ্ছে
বিড়াল পেতেছে ওঁত অকুস্থলে

আমি কিভাবে এই আজব জীবটিকে ‘আমি’ বলে চিনলাম

কেন আমি হলাম না একটা হায়না
নাটক দেখলাম বিগত শতাব্দীগুলির
অসম্ভব খেলনার সামগ্রী মনে হল নিজেকে
বেশভূষা বদলে গেল
সুতো পেলাম অনেক

আমার বিব্রত শিক্ষা বর্বর ভেসে গেল রূপকথার ঘন্টা বাজিয়ে
মুর্ছা গেল গৌরবের প্রত্যেকটি খুঁটি

যখন আমাদের কোন একটি বিষয় নিয়ে লিখতে বলা হয় - আমরা তার আর্থ সামাজিক ও রাজনৈতিক দিক খুব সচেতন ভাবে ট্যাকেল করি এবং আমরা ভাব মুক্তি দিই। সভ্যতার একটা বৈজ্ঞানিক অভিমুখ তৈরী হয়ে উঠেছে। যেখানে সবকিছু ঠেলে নিয়ে একটা স্রোত চলেছে সময় এবং এখানে আপনি পারস্পরিক, অন্যান্য বস্তুদের আকর্ষণ ঠেলে বেরোতে পারবেন না। - আর ঐ বিজ্ঞান, সেও জনশ্রুতি । হ্যাঁ, শিকার নয় শিকারী হতে হবে আপনাকে। - বেরিয়ে আসতে হবে। - আর আপনি কিভাবে বেরুবেন, সেটা নির্ভর করছে আপনি কোন ফাঁদে পড়েছেন তার ওপর।

দেহ এমন এক যন্ত্র, যা বাজানো শিখতে হয় - যারা বাজাতে জানেন প্রায়শই মধুর সংগীত জন্ম দেন এনারা।

আমাদের পুলক নীরবতা

‘ভায়োলেন্স পছন্দ করি না’ যারাই বলেন তাঁদের মধ্যে একরকম ভয় কাজ করে আর যারা অতিরিক্ত পছন্দ করেন তাদের মধ্যেও ভয় কাজ করে - অবশ্য দুটো একরকম নয়। - এটা ভায়োলেন্সের নিজের মাহাত্ম্য। 

একটা দৃশ্যের ভিতর দ্বিতীয় একটা দৃশ্য খুঁজে পাচ্ছেন, আসলে যেটা দেখা যাচ্ছেনা অথচ মনে হচ্ছে প্রথম দৃশ্যকে মুছে দিয়ে উঠে আসছে। একটা ব্ল্যাক স্পট ফেলা হয়েছিল চিন্তা ও কল্পনায়। - যেখানে আপনি খেতে বাধ্য হচ্ছেন। নিজে থেকেই ভেঙে যাচ্ছে স্মৃতি। ...


আমাদের অনেকেই আছে কেউ ভালো বললে ভালো বলে কেউ খারাপ বললে খারাপ। আত্মবিশ্বাসের এই ঘাটতি অনেকের মধ্যেই দেখেছি এবং এটা একটা আশ্চর্য ওয়েভলেন্থ তৈরি করে। মুক্তি না ঘটে, সংকুচিত ভাবনার অনুশীলন চলে।
- হ্যাঁ, আমি সমসাময়িক এবং পূর্বজ প্রসঙ্গে বলছি যাদের কালচারটা মন বা হৃদয়ের সঙ্গে সম্পর্কায়িত নয়, বরঞ্চ অনেকাংশেই ভাসমান।
- কুকুর, কাক, শকুনের মধ্যে খেয়োখেয়ি আছে ঠিকই কিন্তু মানুষেরটা কদর্যতা। কলুষিত মনের বিরাট পরিধি তৈরি করেছে সে।

উদাহরণ কোন সমাধান হতে পারে বলে মনে করিনা আমি।
উল্টোদিকে বিস্তর সমস্যা।
একজন নির্দিষ্ট ব্যাক্তি নিজেকে আইডেন্টিফাই করছে
শনাক্ত হচ্ছে শত্রু
যুদ্ধের নেটওয়ার্ক হয়ে উঠছে সক্রিয়
এই বায়বীয় যুদ্ধ তাকে একা করছে, গৃহবন্দী করছে

ঘৃণার পাত্র হয়ে উঠছে সে ঐ তরঙ্গবাসীর কাছে।

কিন্তু ঐ অব্দি তো দুনিয়া নয়

চাকাগুলি যে যার পথের দিকে ঘুরিয়ে নেয়। ক্রমে নতুন অভিজ্ঞতা লঞ্চ হতে থাকে জীবনে


এখন ৯.৩০। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই হয়ত সোনা ফোন করবে। বেবিটা ঘুমিয়ে পড়লে সারারাত অনন্ত উপন্যাস। – ঘুম নেমে আসে মিহি স্বপ্নে। শীত উবে যায় উষ্ণ নগ্ন শরীরের ছোঁয়ায়।
হাতে, তার স্তন। তার দু-উরুর ভিতর আমার পা।
অন্য হাতে শুয়েছে সে।

2 comments:

  1. এরকম একটা লেখা পড়ার পর সত্যিই মন্তব্য করাটা অবান্তর। অনেকক্ষণ চুপ করে বসে ভাবা যায় মাত্র...

    ReplyDelete
  2. ওহ মাথা ঝিমঝিম করছে. হড়কা বান গিলে ফেলার আনন্দ... পড়াটা এক নি:শ্বাসে...

    ReplyDelete